রাজশাহীর ষষ্ঠীতলা এলাকার একটি ছাত্রাবাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নুরুল ইসলাম শহীদকে মারধরের ঘটনায় প্রেমঘটিত দ্বন্দ্বের তথ্য উঠে এসেছে।
মঙ্গলবার রাতে কিউট ছাত্রাবাসে ২০-২৫ জনের একটি দল নুরুল ইসলামের ওপর হামলা চালায়। এতে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত লাগে। বর্তমানে তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
পুলিশ জানায়, হৃদয় ও মোস্তাক মিল্টন নামে দুই তরুণ একটি মেয়েকে পছন্দ করতেন। সেই নিয়ে বিরোধের জেরে হৃদয়ের দুলাভাইসহ কয়েকজন ছাত্রাবাসে আশ্রয় নেন। মিল্টনের দল বিষয়টি জানতে পেরে ছাত্রাবাসে হামলা চালায়।
নুরুল ইসলাম জানান, তিনি রাতের খাবার খাওয়ার সময় একজন অপরিচিত ব্যক্তি ছাত্রাবাসে ঢুকে সবাইকে খুঁজতে থাকেন। কিছুক্ষণ পর ২০-২৫ জন এসে কোনো কথা না বলেই তার ওপর আক্রমণ চালায়। হামলায় ছাত্রাবাসের মালিকসহ আরও কয়েকজন আহত হন।
ছাত্রাবাসের মালিক রোকন উদ্দীন বলেন, “ছাত্রাবাসে ঢুকে এভাবে হামলার ঘটনা আগে কখনো দেখিনি। হামলাকারীরা ছাত্র বলে মনে হয়নি। প্রেমঘটিত দ্বন্দ্বের কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করছি।”
বোয়ালিয়া থানার ওসি মেহেদী মাসুদ জানিয়েছেন, এখনও এ বিষয়ে কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ঘটনার পর ছাত্রাবাসের বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। নুরুল ইসলাম জানিয়েছেন, তিনি আজই মামলা করবেন।