মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শাসনামলে পানামা খালকে কেন্দ্র করে এক নতুন কূটনৈতিক উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র পানামায় সেনা মোতায়েন বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে, যা পানামার জন্য নতুন এক উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। এই পরিকল্পনা নিয়ে পানামার সরকার তাদের সার্বভৌমত্ব রক্ষার প্রতি দৃঢ় অবস্থান ব্যক্ত করেছে।
পানামার পররাষ্ট্রমন্ত্রী হ্যাভিয়ার মার্তিনেজ-আচা এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, “পানামার ভূখণ্ড, খাল এবং সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা আমাদের অধিকার এবং এটি আমাদের জনগণেরই থাকবে।” তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ওই উদ্যোগের প্রতি কঠোর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।
১৯৯৯ সালে পানামা খাল যুক্তরাষ্ট্র থেকে পানামার কাছে হস্তান্তরিত হওয়ার পর থেকে, সেখানে কোনো মার্কিন সেনা অবস্থান করেনি। তবে ট্রাম্প প্রশাসন সম্প্রতি এই খালের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং পানামার খালের মাধ্যমে চীন এবং হংকংয়ের প্রভাব বাড়ানোর অভিযোগ তুলেছে।
এদিকে, ট্রাম্পের গ্রিনল্যান্ড নিয়ে পরিকল্পনাও তীব্র বিরোধিতার সম্মুখীন হয়েছে। গ্রিনল্যান্ডের সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা এই পরিকল্পনাকে স্পষ্টভাবে নাকচ করেছেন, যা নতুন করে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের জটিলতা বাড়াচ্ছে।