ক্রীড়াবিদরা দেশের সংস্কৃতি ও অর্জনের প্রতীক। তাদের সাফল্য প্রজন্মের অনুপ্রেরণা হয়ে ওঠে। সেই ধারাবাহিকতায় সপ্তম শ্রেণির ইংরেজি পাঠ্যবইয়ে “স্পোর্টস পারসোনালিটি” বিভাগে জায়গা পেয়েছেন জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া ও দাবার কিংবদন্তি রাণী হামিদ। তাদের এই অন্তর্ভুক্তি নতুন প্রজন্মকে খেলাধুলার প্রতি উৎসাহী করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
জামাল ভূঁইয়ার বেড়ে ওঠা ডেনমার্কে। সেখান থেকে বাংলাদেশের ফুটবলে নিজের অবস্থান তৈরি করা সহজ কাজ ছিল না। দীর্ঘদিন জাতীয় দলের অধিনায়কত্ব করা জামাল প্রবাসী ক্রীড়াবিদদের জন্য এক অনন্য উদাহরণ। দূর প্রবাস থেকে তিনি জানান, “পাঠ্যবইয়ে স্থান পাওয়া আমার জন্য এক অসাধারণ সম্মান। ভেবেও দেখিনি যে একদিন আমাকে শিক্ষার্থীরা তাদের পাঠ্যবইয়ে পড়বে। আমি গর্বিত ও কৃতজ্ঞ।”
অন্যদিকে, রাণী হামিদ বাংলাদেশের দাবার ইতিহাসে এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। তিনি দেশের প্রথম নারী আন্তর্জাতিক মাস্টার। তার বয়স ৮২ হলেও এখনো দাবার প্রতি তার নিবেদন অটুট। হাঙ্গেরি অলিম্পিয়াডে তার সাফল্য বিশ্বজুড়ে প্রশংসিত। পাঠ্যবইয়ে নাম আসার বিষয়ে রাণী হামিদ বলেন, “এই স্বীকৃতি আমাকে অনুপ্রাণিত করেছে। এটি শিক্ষার্থীদের ক্রীড়াবিদদের জীবন ও ত্যাগ সম্পর্কে জানতে সাহায্য করবে।”
এর আগে সাকিব আল হাসান ও কাজী সালাউদ্দিনের নাম পাঠ্যবইয়ে ছিল। এবার নতুন প্রজন্মের তারকাদের মধ্যে রাণী হামিদ, জামাল ভূঁইয়া ও নিগার সুলতানা জ্যোতিকে স্থান দেওয়া হয়েছে। এটি ক্রীড়াবিদদের অবদানকে আরও বেশি স্বীকৃতি ও মর্যাদা প্রদান করবে বলে মনে করছেন ক্রীড়া বিশ্লেষকরা।