বিরাট কোহলির ব্যাটে আরও একবার বড় ম্যাচে দুর্দান্ত ইনিংস দেখল ক্রিকেট বিশ্ব। ৩৬ বছর বয়সেও তার ধার কমেনি একটুও। পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৫১তম ও আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের ৮২তম সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে ভারতকে শক্ত অবস্থানে নিয়ে যান তিনি। দুবাইয়ের ধীরগতির উইকেটেও রান তোলার কৌশল দেখিয়ে দিলেন এই ব্যাটিং জিনিয়াস।
কোহলির ইনিংসের সবচেয়ে বড় শক্তি ছিল তার রানিং বিটুইন দ্য উইকেট, যেখানে থেকে এসেছে ৭২ রান। অহেতুক ঝুঁকিপূর্ণ শট না খেলে বুদ্ধিদীপ্ত ব্যাটিং করেই তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগার স্পর্শ করেন তিনি। তবে পাকিস্তানের খামখেয়ালির কারণেই কোহলি এতদূর যেতে পেরেছেন। তারা যদি সতর্ক হতো, কোহলিকে আগেই ফিরতে হতো!
রান তখন ৪১, প্রান্ত বদল করে রান নিয়েছেন কোহলি। ফিল্ডারের ছোঁড়া বলটিকে হাতে থামিয়ে ফেলেন তিনি, যদিও তখন বল ‘ডেড’ হয়নি। সেটি স্ট্যাম্প মিস করে ওভারথ্রো হওয়ার সম্ভাবনাও ছিল। অথচ বলটি ফিল্ডারের কাছে না গিয়ে নিজেই আটকে দেন কোহলি।
এই ঘটনাই চোখে লেগেছে ধারাভাষ্যকার সুনীল গাভাস্কারের। সঙ্গে সঙ্গেই তিনি মন্তব্য করেন, “পাকিস্তান যদি আপিল করত, তাহলে এটা ‘অবস্ট্রাক্টিং দ্য ফিল্ড’ হিসেবে কোহলির আউট হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। তিনি না থামালেও ফিল্ডার হয়তো বল ধরতে পারতেন। এটা না করাই ভালো হতো তার জন্য। কোহলি সৌভাগ্যবান যে পাকিস্তান আপিল করেনি।”
ক্রিকেটের আইন ৩৭.৪ অনুযায়ী, ফিল্ডারের অনুমতি ছাড়া ইচ্ছাকৃতভাবে বল ব্যাট বা শরীরের অংশ দিয়ে থামানো হলে ব্যাটার আউট হবেন। কোহলির ক্ষেত্রে এই আইনই প্রযোজ্য হতে পারত, যদি পাকিস্তান আবেদন করত। কিন্তু তাদের অসতর্কতার কারণে কোহলি টিকে যান এবং পরে ম্যাচের ভাগ্যও গড়ে দেন ভারতের পক্ষে।
পাকিস্তানের ভুলেই কোহলি আউট হওয়া থেকে রক্ষা পেয়েছেন, যা তাদের জন্য হতে পারত ম্যাচে ফেরার বড় সুযোগ। কিন্তু সেটি হাতছাড়া করে শেষ পর্যন্ত কোহলির দুর্দান্ত ইনিংসের সামনে হার মানতে হয় তাদের।