নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করা জনগণের জন্য ক্ষতিকর এবং অজান্তেই পরাজিত ফ্যাসিস্টদের শক্তিশালী করতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের মিলনায়তনে এক শিক্ষক সমাবেশে ভার্চুয়াল বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, নির্বাচন জনগণের রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করার কার্যকর মাধ্যম। বিএনপির নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, এমন কোনো কাজ করা যাবে না যা বিতর্ক বা বিভ্রান্তির জন্ম দেয়। জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস, তাদের সমর্থন থাকলে কোনো ষড়যন্ত্র সফল হবে না।
তারেক রহমান জানান, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে শিক্ষা উন্নয়নে শিক্ষা কমিশন গঠন করা হবে। তিনি বলেন, সংস্কার এবং নির্বাচন উভয়ই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু নতুন প্রজন্ম যদি রাষ্ট্রের সহায়তায় রাজনৈতিক দল গঠন করে তবে তা জনগণের জন্য হতাশার কারণ হতে পারে। এ প্রক্রিয়া হওয়া উচিত স্বচ্ছ ও প্রশ্নমুক্ত।
সরকারের সীমাবদ্ধতা প্রসঙ্গে তারেক রহমান বলেন, দেশের জনগণ অনেক ক্ষেত্রে সরকারের ব্যর্থতা মেনে নিলেও সরকারের উচিত ধৈর্য ও সহনশীলতা বজায় রাখা। সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, জনগণের ভোগান্তি কমাতে বাজার নিয়ন্ত্রণে মনোযোগী হওয়া উচিত। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি এবং ভ্যাটের চাপ থেকে সাধারণ মানুষকে রেহাই দিতে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।
তারেক রহমান আরও বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বাজার সিন্ডিকেট ভেঙে জনগণকে স্বস্তি দিতে ব্যর্থ হয়েছে। এ পরিস্থিতি জনগণের মনে প্রশ্ন তুলছে, সরকারের মনোযোগ কি অন্য কোনো ইস্যুতে, নাকি সরকারের ক্ষমতার অভাব?
তিনি শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে বলেন, গণতন্ত্রের বিকাশ নির্ভর করে নিয়মিত চর্চা ও সঠিক আচরণের ওপর। ভিন্নমত ও পথ থাকা স্বাভাবিক, কিন্তু সবার লক্ষ্য হওয়া উচিত বৈষম্যহীন মানবিক বাংলাদেশ গড়া।
এই সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির শীর্ষ নেতৃবৃন্দ এবং সারা দেশের শিক্ষকরা। তারা একমত হয়েছেন যে, সুষ্ঠু নির্বাচন এবং কার্যকর সংস্কারই দেশের ভবিষ্যৎ গঠনে ভূমিকা রাখবে।