বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে বর্তমানে একটি বড় প্রশ্ন রয়েছে—কোন দল আগামী নির্বাচনে জয়ী হবে, বিএনপি নাকি জামায়াত? চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এবং রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের নির্বাচনী প্রস্তুতি নিয়ে একে অপরের বিরুদ্ধে তুমুল আলোচনা করছে। বিএনপি ও জামায়াত, দুটি দলের মধ্যে এখন তীব্র প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে গেছে, কিন্তু তাদের মধ্যে ভিন্ন ভিন্ন কৌশল রয়েছে।
বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে নির্বাচনী প্রস্তুতির ধরনে পার্থক্য রয়েছে। জামায়াত ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি আসনে সম্ভাব্য প্রার্থী ঘোষণা করেছে, যেখানে বিএনপি এখনো কোনো প্রার্থী ঘোষণা করেনি। জামায়াতের শীর্ষ নেতৃত্ব আসন্ন নির্বাচনে মনোনয়ন দেওয়ার ক্ষেত্রে একনিষ্ঠ, এবং দলীয় কর্মীরা তাদের সিদ্ধান্ত মেনে চলবে। অন্যদিকে, বিএনপিতে সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে মতপার্থক্য দেখা দিয়েছে, যার কারণে তারা স্থানীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে বিভক্তির শঙ্কা নিয়ে বেশ সতর্ক।
এছাড়া, বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে পারস্পরিক আক্রমণও চলছে। জামায়াতের এক নেতা দাবি করেছেন, জনগণ আরেক দখলদার দলকে ক্ষমতায় বসাতে চায় না, আর বিএনপির পক্ষ থেকে অভিযোগ এসেছে যে জামায়াত প্রশাসন ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তাদের লোক বসিয়েছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বিএনপির আসন ভাগাভাগি নিয়ে একাধিক মিত্র দলের সঙ্গে সমঝোতা হতে পারে। জামায়াতও একইভাবে অন্যান্য ইসলামী দলগুলোর কাছে যাওয়ার চেষ্টা করছে। তবে, যেহেতু আওয়ামী লীগ নির্বাচন থেকে অনেকটাই সরে গেছে, তাই বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে আগামী নির্বাচনের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে যাচ্ছে।
সব মিলিয়ে, বিএনপি বা জামায়াত কারা নিজেদের নির্বাচন প্রস্তুতিতে এগিয়ে তা সময়ই বলতে পারবে। তবে এই মুহূর্তে তারা নিজেদের নির্বাচনী কৌশল নিয়ে গোপন আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে, আর যা কিছুই হোক, ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি তুঙ্গে পৌঁছাবে।