ছয় মাস ধরে মহাকাশে আটকে রয়েছেন দুই নভোচারী। তাদের একজনের নাম ব্যারী বুচ ইউলমোর অন্যজন সুনিতা সুনি উইলিয়ামস। প্রথমজনের বয়স ৬১ আর দ্বিতীয়জনের ৫৯ বছর।
মহাকাশে আটকে থাকা দুই নভোচারীর গল্প শুনে অবাক না হয়ে উপায় নেই। আশ্চর্যজনক এক কল্পনাও তৈরি হয় মনে। সুনিতা ‘সুনি’ ও ব্যারি ‘বুচ’ উইলমোর ২০২৩ সালের ৫ জুন ৮ দিনের একটি মিশনে বের হয়েছিলেন। কিন্তু আইএসএস-এ পৌঁছানোর পর তাদের স্পেসক্রাফটের যান্ত্রিক ত্রুটি কারণে তারা পৃথিবীতে ফিরে আসতে পারেননি।
গেলো ছয় মাসেরও বেশি সময় ধরে মহাকাশে আটকে রয়েছেন তারা। পৃথিবীতে ফিরে আসার জন্য আরো কয়েক মাস অপেক্ষা করতে হবে বলেও জানা গেছে। এত দীর্ঘ সময়ে তারা কি খেয়ে কিভাবে বেঁচে রয়েছেন তা নিয়ে আগ্রহের শেষ নেই সাধারণ মানুষের।
অনিশ্চয়তা থাকা সত্ত্বেও তাদের সুস্থতার জন্য খাদ্য সরবরাহ নিয়ে বিজ্ঞানীরা চালাচ্ছেন নানা প্রচেষ্টা। সুনি নিজেই সম্প্রতি একটি ভিডিওতে জানিয়েছেন, তার ওজন আগের মতোই রয়েছে। বলেছেন, মাইক্রোগ্রাভিটির প্রভাবে শরীরের কিছু অংশ পরিবর্তিত হলেও, তিনি ও বুচ কাজ করার জন্য এখনো যথেষ্ট সবল রয়েছেন।
তাদের খাদ্য সরবরাহ এখন সীমিত, তবে সুনির্দিষ্ট পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে এটি বজায় রাখা হচ্ছে। প্রথম দিকে তাদের কাছে ছিল তাজা ফল, শাকসবজি, রোস্ট চিকেন, পিজ্জা ও শ্রিম্প ককটেল। কিন্তু বর্তমানে তারা শুকনো খাবার, শুকনো স্যুপ ও পাউডারড দুধ দিয়ে তৈরি সিরিয়াল খাচ্ছেন।
আইএসএস-এর পানি সরবরাহের জন্য রয়েছে একটি ৫৩০ গ্যালনের ট্যাঙ্ক, যা নভোচারীদের প্রস্রাব ও ঘাম পুনর্ব্যবহার করে পরিষ্কার পানি তৈরি করে। এই দুই নভোচারীও এভাবেই প্রসাবকে বিশুদ্ধ করে পান করছেন।
এছাড়াও সেখানে একজন নভোচারীর জন্য ৩.৮ পাউন্ড খাবার রয়েছে যা একদিনের আহারের জন্য পর্যাপ্ত। নাসা জানিয়েছে, নভোচারীদের স্বাস্থ্যের ব্যাপারে তারা বরাবরই সচেতন ও তাদের নিয়মিত মনিটরিং করা হচ্ছে।
নাসা জানিয়েছে, খাবার নিয়ে দুশ্চিন্তার কারণ নেই। তবে তাদের ফিরে আসা নিয়ে উদ্বেগ উৎকন্ঠা বাড়ছে প্রতিদিন।