বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের স্ট্রেংথ অ্যান্ড কন্ডিশনিং কোচ হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সাবেক অলিম্পিয়ান ও বিকেএসপির অ্যাথলেটিক্স কোচ ফৌজিয়া হুদা জুই। বিসিবির সর্বশেষ পরিচালনা পর্ষদের সভায় ছয় মাসের জন্য তাকে এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
নারী ক্রিকেটে জুইকে যুক্ত করার পেছনে বিসিবির নারী বিভাগের চেয়ারম্যান নাজমুল আবেদীন ফাহিমের বড় ভূমিকা রয়েছে। তিনি নিজেও বিকেএসপিতে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন এবং কোচ হিসেবে জুইয়ের দক্ষতা সম্পর্কে ভালো ধারণা রাখেন। তার মতে, জুই শীর্ষস্থানীয় অ্যাথলেট ছিলেন এবং কোচ হিসেবেও দারুণ অভিজ্ঞ। তাই নারী ক্রিকেট দলের উন্নয়নে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবেন।
২০০০ সালের সিডনি অলিম্পিকে বাংলাদেশের হয়ে ১০০ মিটার স্প্রিন্টে অংশ নিয়েছিলেন জুই। তার ঝুলিতে রয়েছে আন্তর্জাতিক পদকও। ইসলামিক গেমসে তিনি লং জাম্পে স্বর্ণ এবং স্প্রিন্টে ব্রোঞ্জ জিতেছেন, এছাড়া এসএ গেমসে লং জাম্পে দুটি রৌপ্য পদক রয়েছে। অ্যাথলেটিক্স থেকে অবসর নেওয়ার পর তিনি কোচিং ক্যারিয়ার শুরু করেন এবং লেভেল-২ কোচিং সনদ অর্জন করেন। একাডেমিক ক্ষেত্রেও তিনি এগিয়ে, মালয়েশিয়া থেকে এক্সারসাইজ অ্যান্ড স্পোর্টস সায়েন্সে পিএইচডি ডিগ্রি সম্পন্ন করেছেন।
যদিও অ্যাথলেটিক্স এবং ক্রিকেট ভিন্ন দুটি খেলা, তবে বিসিবি মনে করছে জুই দ্রুতই মানিয়ে নিতে পারবেন। এ বিষয়ে ফাহিম বলেন, ‘জুইয়ের মৌলিক জ্ঞান অত্যন্ত শক্তিশালী, তাই ফিটনেস ও প্রশিক্ষণ কৌশলে কিছু পার্থক্য থাকলেও তা কোনো সমস্যা সৃষ্টি করবে না। ক্রিকেটে আগে থেকেই রাগবি বা হকি খেলোয়াড়দের কোচিংয়ে দেখা গেছে, তাই একজন অ্যাথলেটের এই ভূমিকায় আসাটা ইতিবাচক।’
বাংলাদেশ পুরুষ দলের ফিটনেস ট্রেইনার তুষার কান্তি হালদারও হকি থেকে এসেছিলেন এবং প্রায় দুই দশক ধরে ক্রিকেটারদের সঙ্গে কাজ করছেন। তার মতে, যোগ্যতা থাকলে অন্য খেলাতেও সফলভাবে কোচিং করা সম্ভব।
বিসিবিতে যোগ দেওয়ার বিষয়ে ফৌজিয়া হুদা জুই এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করেননি। তিনি বর্তমানে বিকেএসপিতে কর্মরত আছেন এবং বিসিবির সঙ্গে তার কাজের অনুমতি সংক্রান্ত প্রক্রিয়া শেষ হলেই নারী ক্রিকেট দলের সঙ্গে যুক্ত হবেন।
নারী ক্রিকেটে নতুন এই সংযোজন ভবিষ্যতে ফিটনেস ও প্রশিক্ষণে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারে বলে মনে করছেন ক্রিকেট বিশ্লেষকরা।