সিলেটের দক্ষিণ সুরমা থানায় একটি ধর্ষণ মামলার তদন্ত কার্যক্রমে ডিএনএ প্রতিবেদন না পাওয়ায় মামলা অগ্রগতিতে বাধা সৃষ্টি হয়েছে। ২০২৩ সালের মার্চে ঘটনার পর এখন পর্যন্ত অভিযোগপত্র দেওয়া সম্ভব হয়নি। সিলেট বিভাগের ডিএনএ স্ক্রিনিং ল্যাবরেটরি থেকে নমুনা ঢাকায় পাঠানো হলেও, প্রতিবেদন না পাওয়ায় তদন্ত থেমে আছে।
ঢাকায় অবস্থিত ন্যাশনাল ফরেনসিক ডিএনএ প্রোফাইলিং ল্যাবরেটরি (এনএফডিপিএল)-এ ২০২২, ২০২৩ ও ২০২৪ সালের ১,৩০৪টি ধর্ষণ মামলার ডিএনএ পরীক্ষা সম্পন্ন করা হলেও মাত্র ১০০টির প্রতিবেদন পাওয়া গেছে। এর ফলে দেশে ধর্ষণ মামলার দীর্ঘকালীন তদন্ত প্রক্রিয়ার মধ্যে অগ্রগতি স্থবির হয়ে পড়েছে।
এছাড়া, সিলেটসহ দেশের অন্যান্য বিভাগের সাতটি ডিএনএ ল্যাব শুধুমাত্র নমুনা সংরক্ষণ করে, পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়। এই পুরো প্রক্রিয়া নিয়ে একাধিক প্রশাসনিক ও অবকাঠামোগত সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছে। বিশেষত, জরুরি মামলাগুলোর ডিএনএ প্রতিবেদন আসতে সময় নিচ্ছে অনেক বেশি।
এমন পরিস্থিতিতে, ধর্ষণ মামলাগুলোর তদন্ত দ্রুত করার জন্য আরও উন্নত ল্যাব স্থাপন, দক্ষ জনবল নিয়োগ এবং পরীক্ষার প্রক্রিয়া দ্রুত করার প্রয়োজনীয়তার কথা বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন।