তিতুমীর কলেজের কিছু শিক্ষার্থী সম্প্রতি কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় করার দাবিতে রেলপথ অবরোধ করে এবং বিভিন্ন প্রতিবাদ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। ৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকার মহাখালী এলাকায় হওয়া এই আন্দোলনটি সমাজে বেশ বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। কলেজের শিক্ষার্থীরা একটি কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের জন্য নানা ধরনের কর্মসূচি পালন করলেও, তাদের এই দাবির ব্যাপারে সাধারণ মানুষের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে।
তিতুমীর কলেজের ছাত্রছাত্রীরা তাদের আন্দোলনকে যে সব যুক্তির ভিত্তিতে সমর্থন করছেন, তা অনেকের কাছে হাস্যকর মনে হচ্ছে। তাঁদের মধ্যে কিছু শিক্ষার্থী দাবি করেছেন, যেহেতু তিতুমীর কলেজে অনার্স ও মাস্টার্স পড়ানো হয়, তাই কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত করা উচিত। তবে, এমন দাবি সাধারণ মানুষের মধ্যে সমর্থন পায়নি। অধিকাংশ মানুষ মনে করছেন, কলেজের শিক্ষার্থীরা তাদের দাবির জন্য যেসব কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছেন, তা শুধুমাত্র অরাজকতা তৈরি করছে এবং অনেকের জীবনে দুর্ভোগ সৃষ্টি করছে।
এছাড়া, শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনের মধ্যে কিছু পরিস্থিতি রয়েছে যা খারাপভাবে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। যেমন, গত নভেম্বরে মহাখালীতে রেলপথ অবরোধ করার সময় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা চলন্ত ট্রেনে পাথর ছুড়ে মেরেছিলেন, যার ফলে কয়েকজন যাত্রী আহত হন। এ ধরনের সহিংসতার কারণে আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে শাস্তির দাবিও উঠেছে।
তিতুমীর কলেজের আন্দোলনকারীরা দাবি করছেন, তাদের কলেজের যথেষ্ট জমি এবং শিক্ষার্থী সংখ্যা রয়েছে, তাই এটি বিশ্ববিদ্যালয় হতে পারে। তবে, অন্যান্য অনেক কলেজও একই ধরনের দাবি তুলছে। আবার, অনেকেই মনে করছেন, বাংলাদেশের কলেজগুলোর মান উন্নত করতে হবে এবং শুধুমাত্র ‘বিশ্ববিদ্যালয়’ হওয়ার জন্য আন্দোলন করা উচিত নয়।
এছাড়া, কলেজে শিক্ষার মান ও পরিবেশ উন্নত করতে নানা দাবি তুলতে পারে শিক্ষার্থীরা, কিন্তু এটি কি আদৌ যৌক্তিক দাবি হতে পারে? এসব প্রশ্ন উঠেছে। অনেক শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ মনে করছেন, এসব আন্দোলন একদিন হয়তো ভবিষ্যতে তাদের জন্য আরও বড় বিপদ ডেকে আনবে।
শেষ পর্যন্ত, আন্দোলনকারীদের উচিত নিজেদের দাবি আরও যুক্তিসংগতভাবে উপস্থাপন করা এবং সহিংস পথ অবলম্বন না করা, যাতে তারা তাদের দাবিতে সমর্থন পেতে পারে।