২০১৬ সালে নিখোঁজ হওয়া ব্যারিস্টার মীর আহমেদ বিন কাসেম (আরমান) সম্পর্কে প্রশ্ন করায় ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে তার স্ত্রীকে হেনস্তার অভিযোগ উঠেছে। ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, ২০১৭ সালে চ্যানেল-৪ এর এক সাংবাদিক টিউলিপের কাছে আরমানের নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে টিউলিপ ক্ষুব্ধ হয়ে প্রশাসনের মাধ্যমে আরমানের স্ত্রীকে হয়রানি করেন।
আরমান, যিনি জামায়াত নেতা মীর কাসিমের ছেলে, ২০১৬ সালে যুদ্ধাপরাধের মামলায় তার বাবার পক্ষে আইনজীবী হিসেবে কাজ করার সময় নিখোঁজ হন। ২০২৪ সালে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর আট বছর পর বাড়ি ফেরেন তিনি।
ফিন্যান্সিয়াল টাইমস জানায়, চ্যানেল-৪ এর সাংবাদিক টিউলিপের কাছে জানতে চান, শেখ হাসিনার ভাগ্নি ও একজন ব্রিটিশ এমপি হিসেবে তিনি আরমানের মুক্তিতে কিছু করতে পারেন কিনা। তবে, টিউলিপ উত্তেজিত হয়ে উল্টো প্রশ্ন করেন, আরমান কি তার সংসদীয় এলাকার কেউ কিংবা ব্রিটিশ নাগরিক?
এই ঘটনার পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আরমানের বাড়িতে গিয়ে তার স্ত্রীকে চুপ থাকতে বলে এবং বিদেশি সংস্থার সঙ্গে তার যোগাযোগ নিয়ে প্রশ্ন করে। আরমান ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে জানান, তার স্ত্রীর সঙ্গে এমন আচরণ করা হয় যেন তিনি কোনো সন্ত্রাসী।
টিউলিপের এমন আচরণ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও তিনি এবং তার দল লেবার পার্টি এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। তবে জানা গেছে, টিউলিপ ফরেন অফিসে এই বিষয়ে একটি চিঠি পাঠিয়েছিলেন।
আরমানের ব্রিটিশ আইনজীবী মাইকেল পলক বলেন, “টিউলিপের বিষয়ে একটি প্রশ্ন করায় তার স্ত্রীর ওপর এমনভাবে চাপ সৃষ্টি করা হয়, যা র্যাবের মতো বাহিনীর কার্যক্রমে আশঙ্কা তৈরি করে।”
এই ঘটনায় টিউলিপ সিদ্দিকের ভূমিকা এবং তার ব্যবহার নিয়ে ব্রিটিশ ও আন্তর্জাতিক মহলে ব্যাপক আলোচনা চলছে।