ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ নয়, বার্নলে খেলছে দ্বিতীয় স্তরের ইংলিশ ফুটবল লিগ চ্যাম্পিয়নশিপে। তবে সেখানেই দলটি গড়ে ফেলেছে এক অবিশ্বাস্য রেকর্ড—টানা ১০০০ মিনিট কোনো গোল হজম করেনি! ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় সারির ক্লাব ফুটবলে এটি এক অনন্য কীর্তি।
শনিবার প্রিস্টন নর্থ এন্ডের বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র করে বার্নলে। এর ফলে দলটি টানা ১১টি লিগ ম্যাচে প্রতিপক্ষকে গোল করার সুযোগ না দিয়েই পার করেছে। শুধু তাই নয়, পুরো মৌসুমে এখন পর্যন্ত ২৪টি ম্যাচে একবারও তাদের জালে বল প্রবেশ করাতে পারেনি কোনো দল।
বার্নলের রক্ষণভাগ এ মৌসুমে এক অপ্রতিরোধ্য দেয়ালে পরিণত হয়েছে। মৌসুমের এক চতুর্থাংশ এখনও বাকি থাকতেই তারা গোল হজম না করার অনন্য নজির গড়ে ফেলেছে। ৩৩ ম্যাচের মধ্যে মাত্র দুটি ম্যাচেই তাদের বিপক্ষে গোল হয়েছে, যা ফুটবলবিশ্বে আলোড়ন তুলেছে।
সর্বশেষ বার্নলের জালে বল পাঠিয়েছিলেন ওয়ার্টফোর্ডের কাওয়াদু বাহ। ২১ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত সেই ম্যাচের ৮০তম মিনিটে গোলটি করেছিলেন তিনি। এরপর থেকে ৫৬ দিন পার হলেও বার্নলের রক্ষণব্যবধান ভাঙতে পারেনি কোনো দল।
ইংল্যান্ডের শীর্ষ চার স্তরের ফুটবলে বার্নলে এখন পঞ্চম ক্লাব, যারা টানা ১১ ম্যাচ গোল না খাওয়ার রেকর্ড গড়েছে। এর আগে এই কীর্তি গড়েছিল মিলওয়াল (১৯২৫-২৬), ইয়র্ক সিটি (১৯৭৩-৭৪) এবং রিডিং (১৯৭৮-৭৯)। এছাড়া ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের দল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ২০০৮-০৯ মৌসুমে ১৪ ম্যাচ গোল না খাওয়ার নজির গড়েছিল।
এই অসাধারণ রেকর্ড গড়তে বড় ভূমিকা রেখেছেন বার্নলের গোলরক্ষক জেমস ট্র্যাফোর্ড। সর্বশেষ ১১ ম্যাচে তিনি ২১টি শট প্রতিহত করেছেন, যার মধ্যে দুটি ছিল পেনাল্টি। প্রতিপক্ষ দলগুলোর জন্যও বার্নলের রক্ষণভাগ যেন দুর্ভেদ্য দুর্গ হয়ে উঠেছে—এই ১১ ম্যাচে কোনো দলই সর্বোচ্চ তিনটির বেশি শট নিতে পারেনি বার্নলের পোস্টের দিকে। এর মধ্যে ৬টি ম্যাচই শেষ হয়েছে গোলশূন্য ড্রয়ে।
বার্নলের এই রেকর্ড তাদের ডিফেন্সিভ শক্তিরই প্রমাণ, যা ফুটবলবিশ্বে বেশ আলোড়ন তুলেছে। এখন দেখার বিষয়, তারা এই অসাধারণ পারফরম্যান্স কতদিন ধরে রাখতে পারে।