
সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির মধ্যে বেশ কয়েকটি উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়, যেখানে ট্রাম্প সরাসরি জেলেনস্কিকে পরামর্শ দেন যে, যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার পরিবর্তে আলোচনার মাধ্যমে একটি সমাধানে পৌঁছানো উচিত। ট্রাম্প ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা অব্যাহত রাখার বিষয়ে সংশয় প্রকাশ করেন এবং স্পষ্টভাবে জানান, তিনি ইউক্রেনকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ‘অর্থ ব্যয় করে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে’ উৎসাহিত করবেন না।
জেলেনস্কি প্রথমে এই পরামর্শ প্রত্যাখ্যান করে জানান যে, ইউক্রেন স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাবে। তবে কয়েক দিনের মধ্যে আলোচনার গতিপথ বদলে যায় এবং ট্রাম্প-জেলেনস্কি আলোচনার মাধ্যমে একটি চুক্তির কাছাকাছি পৌঁছান।
সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, এই আলোচনার ফলাফল হিসেবে উভয় দেশ একটি গুরুত্বপূর্ণ খনিজ সম্পদ চুক্তিতে পৌঁছেছে, যা আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই স্বাক্ষরিত হতে পারে। এই চুক্তির মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের মূল্যবান খনিজ সম্পদের ওপর প্রবেশাধিকার পাবে, বিশেষ করে লিথিয়াম, টাইটানিয়াম এবং অন্যান্য বিরল খনিজ, যা আধুনিক প্রযুক্তি ও প্রতিরক্ষা শিল্পের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই চুক্তি ইউক্রেনের যুদ্ধ-বিধ্বস্ত অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে সহায়তা করতে পারে এবং দেশটির পুনর্গঠনে বড় ভূমিকা রাখতে পারে। তবে সমালোচকরা এটিকে ইউক্রেনের সার্বভৌমত্বের ওপর মার্কিন প্রভাব বিস্তারের একটি কৌশল বলে মনে করছেন।
এই চুক্তি শুধু ইউক্রেন ও যুক্তরাষ্ট্রের জন্যই নয়, আন্তর্জাতিক ভূ-রাজনীতির ক্ষেত্রেও বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, রাশিয়াও এই চুক্তির ওপর নজর রাখছে এবং এটি মস্কো ও কিয়েভের ভবিষ্যৎ কূটনৈতিক অবস্থানের ওপর বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে।