জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের আদর্শকে ধারণ করে আরেকটি নতুন সংগঠন আত্মপ্রকাশের অপেক্ষায়। এর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হতে পারে দু-একদিনের মধ্যেই। নতুন সংগঠনটির নেতৃত্বে রয়েছেন জুলাই অভ্যুত্থানের সক্রিয় দুই ছাত্রনেতা, যারা সম্প্রতি জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) থেকে বেরিয়ে এসেছেন। তাদের নেতৃত্বে থাকা নতুন এই প্ল্যাটফর্মের মূল লক্ষ্য হবে শহিদ পরিবার ও আহতদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার প্রদান এবং বৈষম্যহীন একটি রাষ্ট্র গঠন।
নতুন সংগঠনের নেতৃত্বে রয়েছেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক দুই সভাপতি আলী আহসান জুনায়েদ ও রাফে সালমান রিফাত। তারা যুগান্তরকে জানান, প্রাথমিকভাবে ৭০-৮০ জন সদস্য নিয়ে সংগঠনের যাত্রা শুরু হবে। জুনায়েদ বলেন, “জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের যে চেতনা, তা পুরোপুরি ধারণ করাই আমাদের উদ্দেশ্য। আমরা চাই জনগণের প্রত্যাশা পূরণে কাজ করতে এবং রাজনৈতিক অঙ্গনে একটি কার্যকর ‘প্রেশার গ্রুপ’ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে।”
এ বিষয়ে এনসিপির সিনিয়র আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব বলেন, “যেকোনো নতুন সংগঠন যদি জুলাইয়ের চেতনাকে ধারণ করে এগিয়ে যায়, তাহলে আমরা তাদের জন্য শুভকামনা জানাই। সবাই মিলে কাজ করলে তা দেশের জন্য মঙ্গলজনক হবে।”
তবে নতুন সংগঠনের উদ্যোগকে শুধুমাত্র এনসিপি থেকে বেরিয়ে আসার প্রতিক্রিয়া হিসেবে দেখছেন না এর নেতারা। জুনায়েদ বলেন, “এনসিপির প্রতি আমাদের শুভকামনা রয়েছে, তবে শহিদদের মর্যাদা, আহতদের পুনর্বাসন এবং গণহত্যার বিচার নিয়ে আমরা আরও কার্যকর উদ্যোগ দেখতে চাই।”
রাফে সালমান রিফাত বলেন, “আমাদের সংগঠন শুধু একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর জন্য নয়, বরং এটি হবে সব শ্রেণি-পেশার মানুষের জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম। এটি মূলত একটি রাজনৈতিক ‘প্রেশার গ্রুপ’ হিসেবে কাজ করবে, তবে ভবিষ্যতে রাজনৈতিক দলে রূপ নেয়ার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।”
নতুন সংগঠনের নেতারা জানিয়েছেন, তারা ফ্যাসিবাদবিরোধী লড়াই চালিয়ে যাবেন এবং বৈষম্যহীন সমাজ গঠনে ভূমিকা রাখবেন। জুলাই অভ্যুত্থানের অংশীদার যারা এখনো কোনো সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হননি, তাদের এই প্ল্যাটফর্মে স্বাগত জানানো হবে।