ঢাকার শীর্ষ সন্ত্রাসীরা জামিনে মুক্তি পেয়ে ফের বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তাদের তাণ্ডবে ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে এলাকাবাসী সবাই আতঙ্কিত। রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতার কারণে সন্ত্রাসীরা আরও সাহস পাচ্ছে বলে মনে করছেন সমাজ ও অপরাধ বিশ্লেষকরা।
ধানমন্ডি, মগবাজার, মোহাম্মদপুরসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় সন্ত্রাসীরা নির্মাণাধীন ভবন, মার্কেট ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে চাঁদা দাবি করছে। চাঁদা না দিলে বোমা হামলা, গুলি, কিংবা অগ্নিসংযোগের মতো ভয়ংকর ঘটনার শিকার হতে হচ্ছে ভুক্তভোগীদের।
সম্প্রতি ধানমন্ডির একটি নির্মাণাধীন ভবনে চাঁদা দাবি করতে এসে সন্ত্রাসীরা ফাঁকা গুলি চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। এছাড়া এলিফ্যান্ট রোডের মাল্টিপ্ল্যান মার্কেটের সামনে দুই ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। মগবাজারের বিশাল সেন্টারের দোকান দখলের চেষ্টাও চলছে।
সন্ত্রাসীদের তালিকায় রয়েছে ইমন, পিচ্চি হেলাল, সুব্রত বাইন, কিলার আব্বাসসহ আরও অনেকে। যদিও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছে, তবে বেশিরভাগই রয়ে গেছে ধরাছোঁয়ার বাইরে।
অপরাধ বিশ্লেষক ড. তৌহিদুল হক মনে করেন, সন্ত্রাসীদের ঠেকাতে রাজনৈতিক আশ্রয়দাতাদের আইনের আওতায় আনতে হবে। পাশাপাশি, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আরও কার্যকর ভূমিকা নিতে হবে।
ডিএমপির উপ-কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান জানিয়েছেন, সন্ত্রাসীদের ধরতে গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ চলছে এবং অচিরেই তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।
রাজধানীতে চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড রুখতে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।