জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত খ্যাতিমান চিত্রনায়িকা অঞ্জনা রহমান আর নেই। এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) রাত ১টা ৩৫ মিনিটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তবে তার মৃত্যুকে ঘিরে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে।
শেষ বিদায়ের আগে অঞ্জনার মরদেহ গোসল করানোর সময় শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন দেখা যায় বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। বিষয়টি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে (বিএফডিসি) নেওয়ার পরেও আলোচনা হয়। তার মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট মহল তদন্ত শুরু করেছে বলে জানা গেছে।
গত বছরের ডিসেম্বর থেকেই অসুস্থ ছিলেন অঞ্জনা রহমান। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকের চেকআপে তার রক্তে ইনফেকশন ধরা পড়ে। চিকিৎসা চললেও শারীরিক অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় ১ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করা হয়। সেখানেই লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
অঞ্জনা রহমান একজন নৃত্যশিল্পী হিসেবে শোবিজে যাত্রা শুরু করেন। পরে চিত্রনায়ক ও প্রযোজক সোহেল রানার হাত ধরে সিনেমায় প্রবেশ করেন। ১৯৭৬ সালে বাবুল চৌধুরী পরিচালিত সেতু চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তার অভিনয় জীবন শুরু হয়। তবে তার প্রথম মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ছিল শামসুদ্দিন টগর পরিচালিত রহস্যভিত্তিক ছবি দস্যু বনহুর, যেখানে তার বিপরীতে ছিলেন সোহেল রানা।
তার মৃত্যুর খবরে চলচ্চিত্র জগতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সহকর্মীরা তার আকস্মিক মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন এবং তার আত্মার শান্তি কামনা করেছেন।