চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে হতাশাজনক পারফরম্যান্স দেখিয়েছে পাকিস্তান। টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত দুটি ম্যাচ খেললেও একটিতেও জয়ের মুখ দেখেনি স্বাগতিকরা। তাদের শেষ ম্যাচটি বৃষ্টির কারণে মাঠেই গড়ায়নি, ফলে গ্রুপ পর্বে তাদের প্রাপ্তি কেবল একটি পয়েন্ট। তবে জয়শূন্য থাকলেও মোটা অঙ্কের অর্থ পুরস্কার পাচ্ছে বাবর আজমের দল।
গ্রুপ পর্বের প্রতিটি ম্যাচ জয়ের জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ থাকলেও টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণকারী প্রতিটি দলই একটি নির্দিষ্ট অর্থ পাবে। আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী, এবারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে প্রতিটি দল অংশগ্রহণের জন্য ১ লাখ ২৫ হাজার ডলার (প্রায় ১ কোটি ৫১ লাখ টাকা) করে পাবে।
পাকিস্তান কোনো ম্যাচ না জিতলেও শুধু অংশগ্রহণ বাবদ এই অর্থ নিশ্চিত হয়েছে। পাশাপাশি, টুর্নামেন্ট শেষে দলের চূড়ান্ত অবস্থানের ভিত্তিতে তারা পাবে আরও ১ লাখ ৪০ হাজার ডলার (প্রায় ১ কোটি ৬৯ লাখ টাকা)। অর্থাৎ, সব মিলিয়ে পাকিস্তানের ঘরে যাচ্ছে প্রায় ৩ কোটি ২০ লাখ টাকা, যা ব্যর্থতার মাঝেও একটি বড় আর্থিক প্রাপ্তি।
এবারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির মোট প্রাইজমানি ২০১৭ সালের আসরের তুলনায় ৫৩% বৃদ্ধি করা হয়েছে। চ্যাম্পিয়ন দল ২২ লাখ ৪০ হাজার ডলার (প্রায় ২৭ কোটি টাকা) ও রানার্সআপ দল তার অর্ধেক অর্থ পাবে। সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নেওয়া দল দুটি পাবে ৫ লাখ ৬০ হাজার ডলার (প্রায় ৬ কোটি ৭৬ লাখ টাকা) করে।
ফলাফল যতই হতাশাজনক হোক, আর্থিক দিক থেকে পাকিস্তান দল খালি হাতে ফিরছে না।