আইসিসির যে কোনো ফাইনাল ম্যাচ ঘিরে পিচ ও ভেন্যু নিয়ে ক্রিকেটপ্রেমীদের কৌতূহল থাকে তুঙ্গে। ব্যাটারদের রাজত্ব চলবে নাকি বোলাররা পাবেন বাড়তি সুবিধা—এ নিয়ে থাকে নানান জল্পনা। আসন্ন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ফাইনালে ভারত ও নিউজিল্যান্ড মুখোমুখি হবে, আর সেই ম্যাচের পিচ ইতোমধ্যে নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
৯ মার্চ দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে টুর্নামেন্টের নবম আসরের ফাইনাল। ভারত এই ভেন্যুতেই তাদের সব ম্যাচ খেলেছে, যা নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি। একই মাঠে ২৩ ফেব্রুয়ারি ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছিল, আর সেই ম্যাচেরই ব্যবহৃত পিচ এবার ফাইনালের জন্যও নির্ধারিত হয়েছে।
দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত ম্যাচগুলো বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, এখানে ব্যাটারদের তুলনায় বোলাররা বেশি সুবিধা পাচ্ছেন। এবারের টুর্নামেন্টে এই ভেন্যুর চারটি পিচ ব্যবহার করা হয়েছে, যার মধ্যে ফাইনালে ব্যবহৃত পিচটি মাঝখানে অবস্থিত। এই পিচ কিছুটা ধীরগতির এবং স্পিনারদের জন্য সহায়ক।
ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে এই উইকেটে ভারতীয় স্পিনাররা দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখিয়েছিলেন। কুলদীপ যাদব, অক্ষর প্যাটেল ও রবীন্দ্র জাদেজা মিলে নিয়েছিলেন ৫ উইকেট, যা স্পষ্ট করে দেয় যে এই পিচে স্পিনাররাই বেশি প্রভাব বিস্তার করতে পারেন।
এবারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারতীয় স্পিন আক্রমণ ভয়ঙ্কর রূপ নিয়েছে। বরুণ চক্রবর্তী একাদশে ঢোকার পর মাত্র দুই ম্যাচেই ৭ উইকেট শিকার করেছেন। জাদেজা, কুলদীপ ও অক্ষর মিলে ভারতের স্পিন অ্যাটাক হয়ে উঠেছে আরও শক্তিশালী। স্বাভাবিকভাবেই ভারতীয় দল ফাইনালে তাদের স্পিনারদের বড় অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করবে।
অন্যদিকে, নিউজিল্যান্ডের মিচেল স্যান্টনারের দল গ্রুপ পর্বে কেবল ভারতের বিপক্ষেই পরাজিত হয়েছে। ফাইনালে তারা কিভাবে ভারতীয় স্পিনারদের মোকাবিলা করবে, সেটিই এখন দেখার বিষয়।
এই ধীরগতির উইকেটে ব্যাটারদের চ্যালেঞ্জ থাকবে স্পিন সামলানোর। ভারত কি তাদের স্পিন-বিভীষিকা দিয়ে ট্রফি নিশ্চিত করবে, নাকি নিউজিল্যান্ড চমক দেখাবে—তার উত্তর মিলবে ৯ মার্চের মহারণেই।