আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫ নিয়ে দীর্ঘ নাটকীয়তার অবসান ঘটিয়ে আইসিসি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগামী ফেব্রুয়ারিতে শুরু হতে যাওয়া এই টুর্নামেন্ট হবে হাইব্রিড মডেলে। পাকিস্তানের তিনটি ভেন্যু করাচি, লাহোর এবং রাওয়ালপিন্ডি এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে গড়াবে এবারের আয়োজন।
আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী, অংশগ্রহণকারী দলগুলোকে ১২ জানুয়ারির মধ্যে প্রাথমিক স্কোয়াড জমা দিতে হবে। তবে ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্কোয়াডে পরিবর্তন আনার সুযোগ থাকলেও এরপর কোনো সংশোধন করতে চাইলে আইসিসির টেকনিক্যাল কমিটির অনুমতি প্রয়োজন হবে।
ইতিমধ্যেই ইংল্যান্ড তাদের দল ঘোষণা করে ফেলেছে। জশ বাটলারের নেতৃত্বে জফরা আর্চার, জো রুটসহ তারকা ক্রিকেটারদের নিয়ে শক্তিশালী দল সাজিয়েছে তারা। টুর্নামেন্টের আগে ভারত সফর করে প্রস্তুতি নেওয়ার পরিকল্পনাও করেছে ইংল্যান্ড।
অন্যদিকে বাংলাদেশ দল নিয়ে চলছে জটিলতা। তামিম ইকবাল এবং সাকিব আল হাসানের মধ্যকার দূরত্ব ও তামিমের অবসর জল্পনা এখনো মীমাংসিত হয়নি। এছাড়া সাকিবের অংশগ্রহণ নিয়েও অনিশ্চয়তা রয়েছে। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত থাকলেও, লিটন দাসের অফফর্ম এবং অন্যান্য ক্রিকেটারদের জায়গা নিশ্চিত করা নিয়ে নির্বাচকদের রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে।
বাংলাদেশ এবারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে গ্রুপ-এ তে পাকিস্তান, ভারত এবং নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে খেলবে। ২০ ফেব্রুয়ারি দুবাইতে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে বাংলাদেশের মিশন। তবে এখনই বোঝা যাচ্ছে, স্কোয়াড চূড়ান্ত করতে বিসিবিকে অনেক কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির মতো গুরুত্বপূর্ণ একটি টুর্নামেন্টে সফল হতে দলীয় সমন্বয় ও প্রস্তুতি হবে বাংলাদেশের বড় চ্যালেঞ্জ। এখন দেখার বিষয়, কেমন হয় তাদের চূড়ান্ত স্কোয়াড।