বাংলাদেশ জাতীয় দলের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি স্কোয়াডে আনুষ্ঠানিকভাবে জায়গা পাননি হাসান মাহমুদ ও খালেদ আহমেদ। তবে তারা দলের সঙ্গে দুবাই যাচ্ছেন বিশেষ উদ্দেশ্যে—নেটে ব্যাটারদের সহায়তা করতে। বিসিবির মিডিয়া ম্যানেজার রাবিদ ইমাম নিশ্চিত করেছেন, এই দুই পেসার শুধুমাত্র অনুশীলনের জন্য নেওয়া হচ্ছে, মূল স্কোয়াডের অংশ হিসেবে নয়।
তবে অনেকেই মনে করছেন, হাসান মাহমুদকে মূল দলে রাখার মতো যথেষ্ট পারফরম্যান্স তিনি দেখিয়েছেন। বিপিএলে খুলনা টাইগার্সের হয়ে ‘ডেথ ওভারে’ তার বুদ্ধিদীপ্ত বোলিং প্রশংসিত হয়েছে। অন্যদিকে, খালেদ আহমেদও দুর্দান্ত পারফর্ম করেছেন, ২০ উইকেট নিয়ে টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারির তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন।
এদিকে, বিশেষজ্ঞরা বলছেন, টিম ম্যানেজমেন্ট হয়তো বাড়তি পেসার নেওয়ার মাধ্যমে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা করছে। কারণ, টুর্নামেন্ট চলাকালীন ইনজুরি একটি সাধারণ ঘটনা। তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান, নাহিদ রানা ও তানজিম হাসান সাকিব বিপিএলে টানা ম্যাচ খেলেছেন, ফলে তাদের ওপর অতিরিক্ত চাপ রয়েছে। যদি কোনো পেসার চোট পান, তবে দলের সঙ্গেই থাকা দুই অতিরিক্ত পেসার তাৎক্ষণিক বিকল্প হতে পারেন।
এছাড়া, ম্যাচগুলোর মধ্যে বিরতি কম থাকায় হুট করে নতুন খেলোয়াড় উড়িয়ে আনতে হলে সেটি সময়সাপেক্ষ ব্যাপার হয়ে দাঁড়াতে পারে। তাই আগেভাগেই বিকল্প পরিকল্পনার অংশ হিসেবে হাসান ও খালেদকে নেওয়া হচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে। এটি কি শুধুই নেটে সহায়তা করার উদ্দেশ্যে, নাকি ভবিষ্যৎ কৌশলের অংশ—তা সময়ই বলে দেবে।