চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫-এর আগে পাকিস্তানের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় ফের ফাঁক ধরা পড়ল। করাচির ন্যাশনাল ব্যাংক স্টেডিয়ামের কড়া নিরাপত্তা বলয় ভেদ করে ভুয়ো পরিচয়পত্র হাতে ঢুকে পড়লেন এক অজ্ঞাত ব্যক্তি। যদিও শেষ পর্যন্ত নিরাপত্তারক্ষীদের তৎপরতায় তাঁকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছে। এই ঘটনায় আবারও প্রশ্ন উঠেছে, আসন্ন টুর্নামেন্ট আয়োজনের জন্য পাকিস্তান আদৌ কতটা প্রস্তুত?
শুক্রবার করাচিতে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনাল ম্যাচ ছিল। তার আগের দিনই ওই ব্যক্তি সাংবাদিক সেজে স্টেডিয়ামে প্রবেশের চেষ্টা করেন। কিন্তু নিরাপত্তারক্ষীরা সন্দেহ প্রকাশ করায় তাঁর পরিচয়পত্র যাচাই করা হয়। দেখা যায়, তাঁর কাছে থাকা আইসিসি ও পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)-এর অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড সম্পূর্ণ ভুয়ো। এরপরই তাঁকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
পিসিবির এক শীর্ষকর্তা জানিয়েছেন, “ওই ব্যক্তি কোথা থেকে এই ভুয়ো পরিচয়পত্র পেলেন এবং তাঁর উদ্দেশ্য কী ছিল, তা জানার জন্য তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।” এই ঘটনার পর পাকিস্তানের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে ঘিরে নতুন করে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। ভারত আগেই নিরাপত্তা ইস্যুতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকে নাম প্রত্যাহার করেছিল, বাকি দেশগুলি এখনও পাকিস্তানেই খেলতে সম্মত। তবে এই অনুপ্রবেশের ঘটনা বিশ্ব ক্রিকেটের শীর্ষ সংস্থাগুলির মধ্যে নতুন আশঙ্কার জন্ম দিয়েছে।
শুধু নিরাপত্তাই নয়, আর্থিক সংকটও ভোগাচ্ছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকে। করাচি, লাহোর ও রাওয়ালপিন্ডির তিনটি প্রধান স্টেডিয়ামের সংস্কারের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছিল ১৩০০ কোটি টাকা। কিন্তু শেষ মুহূর্তে দেখা গেছে, খরচ ছাড়িয়েছে আরও ৫০০ কোটি টাকা। বোর্ড অফ গভর্নর্স এই অতিরিক্ত খরচ অনুমোদন করলেও তহবিলে টান পড়ায় অন্যান্য খাতে বাজেট কাটছাঁট করতে হচ্ছে।
নিরাপত্তা ও অর্থসংকটের এই দ্বৈত চ্যালেঞ্জের মুখে পাকিস্তান ঠিক কতটা সফলভাবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজন করতে পারবে, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েই যাচ্ছে।