ফুটবলপ্রেমীদের রাত জাগার যথার্থ উপলক্ষ এনে দিল বার্সেলোনা এবং বেনফিকার উত্তেজনায় ভরা এক মহাকাব্যিক ম্যাচ। লিসবনের এই ম্যাচে দর্শকরা উপভোগ করেছেন ৯ গোলের এক রোমাঞ্চকর লড়াই, যেখানে বার্সেলোনা শেষ মুহূর্তে জয় ছিনিয়ে নেয় ৫-৪ ব্যবধানে।
ম্যাচের শুরু থেকেই যেন দাপট দেখায় বেনফিকা। গ্রিক স্ট্রাইকার ভাঙ্গেলিস পাভলিদিস মাত্র ৩০ মিনিটে দুর্দান্ত এক হ্যাটট্রিক করেন, যা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ইতিহাসে তৃতীয় দ্রুততম। তার পারফরম্যান্সের কারণে প্রথমার্ধ শেষে স্কোরলাইন ছিল ৩-১, বেনফিকার পক্ষে। বার্সেলোনার একমাত্র গোলটি আসে রবার্ট লেভানডফস্কির ঠাণ্ডা মাথার স্পট-কিক থেকে।
তবে দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নামে এক নতুন বার্সা। ৬৪ মিনিটে বেনফিকার গোলকিপারের ভুলে ব্যবধান কমান রাফিনিয়া। এরপর ৬৮ মিনিটে আরাউহোর আত্মঘাতী গোলে আবার দুই গোলের ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ে বার্সা। কিন্তু এখান থেকেই শুরু হয় বার্সেলোনার দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন।
৭৮ মিনিটে লামিনে ইয়ামালের অর্জিত পেনাল্টি থেকে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন লেভানডফস্কি। নির্ধারিত সময়ের মাত্র চার মিনিট বাকি থাকতে এরিক গার্সিয়ার হেড থেকে আসে সমতাসূচক গোল। এরপর অতিরিক্ত সময়ে রাফিনিয়া দুর্দান্ত এক ব্যক্তিগত প্রচেষ্টায় বার্সার হয়ে জয়সূচক গোলটি করেন। ফেরান তোরেসের পাস পেয়ে বেনফিকার ডিফেন্ডার এবং গোলকিপারকে কাটিয়ে ব্রাজিলিয়ান স্টাইলে বল জালে জড়ান তিনি।
বেনফিকার অসাধারণ শুরু এবং বার্সেলোনার অবিশ্বাস্য প্রত্যাবর্তন—সব মিলিয়ে লিসবনের এই ম্যাচ ফুটবলপ্রেমীদের স্মৃতিতে বহুদিন জায়গা করে নেবে। এমন জয় শুধু বার্সার জন্য নয়, ফুটবলপ্রেমীদের জন্যও অনুপ্রেরণার এক গল্প হয়ে থাকবে।