গাজার বাসিন্দাদের বাস্তুচ্যুত করার প্রস্তাব কঠোরভাবে প্রত্যাখ্যান করেছেন ফিলিস্তিনি নেতা মাহমুদ আব্বাস এবং স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গাজা উপত্যকাকে খালি করার পরিকল্পনা প্রকাশ করার পরই রোববার তাঁরা এই অবস্থান স্পষ্ট করেন।
গাজায় বাস্তুচ্যুত এক বাসিন্দা রাশাদ আল নাজি বলেন, ‘ট্রাম্প ও পুরো বিশ্বকে বলছি, আমরা ফিলিস্তিন কিংবা গাজা ছেড়ে কোথাও যাব না।’
ফিলিস্তিনি সূত্র অনুযায়ী, ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় জিম্মি ও কারাবন্দীদের মুক্তি নিয়ে যে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছিল, তা সমাধানের পথে। চুক্তি কার্যকর হলে গাজার উত্তরাঞ্চলে আটকে পড়া ফিলিস্তিনিরা ফিরে যেতে পারবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
শনিবারের যুদ্ধবিরতির অধীনে ২০০ ফিলিস্তিনি কারাবন্দী ও চার ইসরায়েলি নারী জিম্মি মুক্তি পেয়েছেন। এটি ছিল দ্বিতীয় দফায় বন্দী বিনিময়। তবে ট্রাম্পের পরিকল্পনায় গাজার প্রায় ২৪ লাখ মানুষকে সরিয়ে নেওয়ার কথা জানানো হয়েছে, যা আরব লিগসহ একাধিক পক্ষ তীব্র সমালোচনা করেছে।
ট্রাম্প বলেন, ‘গাজা এখন এক বিধ্বস্ত এলাকা। আমি চাই মিসর এবং জর্ডান গাজার মানুষদের নিয়ে নিক।’ তবে জর্ডান ও মিসর এরই মধ্যে এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে।
মাহমুদ আব্বাসের কার্যালয় থেকে ট্রাম্পের পরিকল্পনার বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনি জনগণ তাদের মাতৃভূমি ছেড়ে কোথাও যাবে না। হামাসও ঘোষণা করেছে, তারা যেকোনো মূল্যে এই পরিকল্পনা ব্যর্থ করবে।
আরব লিগ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এই প্রস্তাব কার্যকর হলে তা জাতিগত নিধনের সামিল হবে। জর্ডানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আয়মান সাফাদি এবং মিসরও একমত হয়েছে যে, ফিলিস্তিনিদের নিজেদের ভূমিতে থাকার পূর্ণ অধিকার রয়েছে।
ইসরায়েলের হামাসবিরোধী অভিযানের কারণে ১৫ মাসের যুদ্ধে গাজার প্রায় সব বাসিন্দা বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। কিন্তু তাঁদের দৃঢ় অবস্থান হলো, তাঁরা নিজেদের ভূমি কখনোই ছেড়ে যাবেন না।