ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস এবং ইসরায়েল যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। বুধবার কাতারের রাজধানী দোহায় উভয় পক্ষ এক চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে বলে জানিয়েছে সংবাদ মাধ্যম। কাতারের প্রধানমন্ত্রী আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন, যা রোববার থেকে কার্যকর হবে। এই চুক্তির পর বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্র ও নেতারা নিজেদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি বিনিময়ের চুক্তি নিশ্চিত করে বলেন, “এই চুক্তি গাজায় যুদ্ধ বন্ধ করবে, ফিলিস্তিনের নাগরিকদের জন্য মানবিক সহায়তা বাড়াবে এবং ১৫ মাসের বেশি সময় ধরে বন্দী থাকা জিম্মিদের পরিবারের সঙ্গে পুনর্মিলন ঘটাবে।” তিনি আরও বলেন, “এই যুদ্ধবিরতি কেবল আঞ্চলিক চাপের ফল নয়, বরং আমেরিকার কূটনীতিরও ফল।”
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একাধিক পোস্টে জানিয়েছেন, “মধ্যপ্রাচ্যে জিম্মিদের মুক্তি খুব শিগগিরই হবে। সবাইকে ধন্যবাদ!”
কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান বিন জসিম আল-থানি উভয়পক্ষের যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার পর বলেছেন, “এই যুদ্ধবিরতি রোববার থেকে কার্যকর হবে। আমি গাজার জনগণকে শান্ত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।”
মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি এই চুক্তি স্বাগত জানিয়ে মানবিক সহায়তা দ্রুত গাজায় পৌঁছানোর গুরুত্ব তুলে ধরেছেন।
জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস এই চুক্তিকে সমর্থন জানিয়ে বলেছেন, “জাতিসংঘ মানবিক সহায়তা বাড়াতে প্রস্তুত।”
তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান বলেন, “যুদ্ধবিরতি আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।”
ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেন বলেছেন, “এটি দীর্ঘকাল ধরে চলা দুর্ভোগের শেষে আশা জাগিয়েছে। উভয়পক্ষকে পুরোপুরিভাবে চুক্তি বাস্তবায়ন করতে হবে।”
গাজার যুদ্ধবিরতির ঘোষণায় বিশ্বনেতাদের বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া তুলে ধরে, এটি কেবল একটি শান্তির প্রস্তাব নয়, বরং আঞ্চলিক শান্তির পক্ষে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।