গাজায় হামলার চতুর্থ দিনে ইসরায়েল আরও ভয়াবহ আক্রমণের ইঙ্গিত দিয়েছে। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ শুক্রবার জানিয়েছেন, শুধু বিমান হামলা নয়, এবার গাজার আরও বড় অংশ দখলের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, হামাস যদি জিম্মিদের মুক্তি দিতে অস্বীকার করে, তবে আরও বেশি এলাকা দখল করা হবে এবং এসব এলাকাগুলো ইসরায়েল অধিকার করবে।
ইসরায়েল এ সময় আরও জানায়, বিমান, নৌ এবং স্থল হামলা বৃদ্ধি করা হবে, যাতে হামাসের পরাজয় নিশ্চিত করা যায়। ৪ ফেব্রুয়ারি গাজা দখলের হুমকি দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও। তার ওই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে কাটজও একইভাবে গাজা দখলের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
এদিকে, ইসরায়েলের হামলায় গাজার বেসামরিক জনগণের অবস্থা আরও বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। যুদ্ধবিধ্বস্ত এলাকায় ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়া মানুষদের আর্তনাদ শোনা যাচ্ছে। এমনই একটি ঘটনা ঘটেছে খান ইউনিস শহরের সীমান্তে, যেখানে ২৫ দিন বয়সী একটি শিশুকে ধ্বংসাবশেষের নিচ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
গাজার একমাত্র ক্যানসার হাসপাতালটিতেও হামলা চালানো হয়েছে। গাজার বেশ কিছু অঞ্চলসহ পশ্চিম তীরে দুটি গ্রামে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী, তবে এখনও পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
এদিকে, গাজার মানুষদের জন্য প্রতিদিনের জীবনযাত্রা হয়ে উঠেছে একে একে ধ্বংস হতে থাকা ঘর-বাড়ি, আক্রমণ এবং আতঙ্কে ভরা এক বাস্তবতা।