দ্বিতীয় মেয়াদে মার্কিন প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই বড় ধরনের সরকারি ব্যয় সংকোচনের উদ্যোগ নিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তারই অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে চাকরি হারিয়েছেন ৯,৫০০-এর বেশি সরকারি কর্মচারী।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, গত ২০ জানুয়ারি শপথ নেওয়ার পরপরই ট্রাম্প ‘সরকারি ব্যয় সংকোচন ও কর্মীদের দক্ষতা বৃদ্ধি’ নামে একটি নতুন দপ্তর খোলার নির্দেশ দেন। এই দপ্তরের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে টেসলা ও স্পেসএক্সের প্রতিষ্ঠাতা ইলন মাস্ককে। তবে কংগ্রেসের আনুষ্ঠানিক অনুমোদন না পাওয়ায় এটি এখনো মন্ত্রণালয়ের মর্যাদা পায়নি, ফলে মাস্ককে ‘উপদেষ্টা’ পদেই রাখা হয়েছে।
শপথ গ্রহণের দিন থেকেই সরকারি কর্মী ছাঁটাই শুরু হয়, যা বর্তমানে প্রায় ১০ হাজারে পৌঁছেছে। ছাঁটাইয়ের তালিকায় রয়েছেন স্বরাষ্ট্র, জ্বালানি, কৃষি, স্বাস্থ্য, অবসরপ্রাপ্ত সেনা পুনর্বাসনসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। ইলন মাস্কের তত্ত্বাবধানে এই প্রক্রিয়া এগিয়ে চলেছে।
এখানেই শেষ নয়, ছাঁটাইয়ের তালিকায় আরও কর্মী যুক্ত হতে চলেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ কর সংস্থা (আইআরএস) ঘোষণা দিয়েছে, আগামী সপ্তাহে তারা আরও ১,০০০-এর বেশি কর্মী ছাঁটাইয়ের নোটিশ দেবে।
ট্রাম্পের এই কঠোর অর্থনৈতিক পদক্ষেপ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে মার্কিন প্রশাসন ও নাগরিক মহলে। কেউ বলছেন, এটি বাজেট ঘাটতি কমানোর জন্য একটি কার্যকর পদক্ষেপ, আবার অনেকেই এটিকে চাকরিজীবীদের জন্য বড় ধরনের সংকট বলে মনে করছেন। সামনে এই নীতি কতটা কঠোর হবে, তা নিয়ে চলছে নানা আলোচনা।