শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অসাধারণ পারফরম্যান্সের পরই বিতর্কের কেন্দ্রে চলে এসেছেন অস্ট্রেলিয়ান স্পিনার ম্যাথু কুনিম্যান। ভাঙা আঙুল নিয়েও সিরিজে ১৬ উইকেট শিকার করে দলের জয়ে বড় অবদান রাখা এই স্পিনারের বোলিং অ্যাকশন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ম্যাচ কর্মকর্তারা। গলে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় টেস্টের পর তার বোলিং নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন আম্পায়াররা, ফলে তাকে বাধ্যতামূলক পরীক্ষার মুখোমুখি হতে হচ্ছে।
ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া জানিয়েছে, ‘গল টেস্টের পর ম্যাচ কর্মকর্তারা কুনিম্যানের বোলিং অ্যাকশন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। দল বিষয়টি সম্পর্কে অবগত এবং তারা তাকে পুরো প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা করবে।’ নিয়ম অনুযায়ী, বোলারের বাহু সর্বোচ্চ ১৫ ডিগ্রি বাঁকতে পারে, এর বেশি হলে তা অবৈধ বলে গণ্য হয়। ধারণা করা হচ্ছে, কুনিম্যানের ক্ষেত্রে এই সীমা অতিক্রান্ত হয়েছে।
তবে সাবেক অজি অধিনায়ক টিম পেইন মনে করেন, কুনিম্যানকে অযথাই টার্গেট করা হচ্ছে। তিনি ভারতীয় পেসার জাসপ্রিত বুমরাহর উদাহরণ টেনে বলেন, ‘কুনিম্যানের কিছুটা হাইপারএক্সটেনশন আছে, যা বুমরাহর ক্ষেত্রেও দেখা যায়। দুজনের বোলিংয়ের মধ্যে তেমন পার্থক্য নেই।’
এসইএন রেডিওতে পেইন বলেন, ‘সন্দেহজনক বোলিং অ্যাকশনের অভিযোগ পাওয়া মানে এক ধরনের কলঙ্ক যুক্ত হওয়া, যা প্রায় প্রতারণার শামিল। কুনিম্যানের জন্য এটি ভীষণ হতাশার।’ তিনি আরও বলেন, ‘ক্রিকেটের ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যাবে, অনেক বোলার এমন অ্যাকশন নিয়ে শত শত টেস্ট খেলেছেন, অথচ তাদের বিরুদ্ধে এমন প্রশ্ন ওঠেনি। কুনিম্যানকে একপ্রকার সহজ লক্ষ্য বানানো হয়েছে, যেন বলা যায়—আমরা বোলিং অ্যাকশনের বিষয়ে সতর্ক আছি।’
সাবেক অধিনায়কের এমন মন্তব্যের পর বিষয়টি আরও বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। কুনিম্যানের ভবিষ্যৎ কী হবে, সেটি এখন পরীক্ষার ফলাফলের ওপর নির্ভর করছে।