১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক অধ্যাপক মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। ৫ আগস্টের পর যখন শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নামেন, তখন উপাচার্য ক্যাম্পাসের পরিবেশ পুনর্গঠন এবং শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফিরিয়ে আনার জন্য ব্যাপক উদ্যোগ নেন। দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকা আবাসিক হলগুলোর আসন বরাদ্দ পুনরায় চালু করা হয় এবং ক্যাম্পাসে ‘মব জাস্টিস’ প্রতিরোধে শিক্ষার্থী ও শিক্ষক মিলে সচেতনতা বাড়ানো হয়। শান্তি-শৃঙ্খলা সমন্বয় কমিটি গঠন করে সমস্যা মোকাবিলা করা হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের দাবি ছিল, দলীয় লেজুড়ভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করে ছাত্র সংসদ নির্বাচন আয়োজন করা হোক। এ বিষয়ে উপাচার্য বলেন, বর্তমান পরিস্থিতি শিক্ষাঙ্গনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে। তিনি ছাত্র সংসদ নির্বাচন আয়োজনের পক্ষে মত প্রকাশ করেছেন, কারণ এটি যোগ্য নেতা তৈরির পথ প্রশস্ত করবে।
বিগত সময়ে নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছিল, সে কারণে উপাচার্য ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটি গঠন করেছেন এবং নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনার জন্য তিনটি ধাপে পরীক্ষা ও সাক্ষাৎকারের প্রক্রিয়া চালু করেছেন। এর ফলে দলবাজি বন্ধ হয়ে যাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
সেশনজট মোকাবিলার জন্য তিনি বিভাগগুলোতে গিয়ে নিয়মিত পরিদর্শন করছেন এবং শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ক্লাস ও পরীক্ষা শেষ করতে উৎসাহিত করছেন। সেশনজট দূর করা হলে শিক্ষার্থীরা সঠিক সময়ে তাদের পাঠ সম্পন্ন করতে পারবেন।
গবেষণা ও শিক্ষার মান বাড়াতে তিনি গবেষণায় বরাদ্দ বাড়ানোর পাশাপাশি গবেষণা ও ক্লাসের মধ্যে ভারসাম্য আনার কাজ শুরু করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের র্যাঙ্কিং উন্নত করতে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন যে, শিক্ষার মান উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে গবেষণার মান বৃদ্ধি পাবে।
শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তিনি ক্যাম্পাসে টহল ব্যবস্থা চালু করেছেন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করার জন্য পরিকল্পনা নিয়েছেন। এছাড়া, হলগুলোতে আসন বরাদ্দের নীতিমালায় পরিবর্তন এনে মেধার ভিত্তিতে বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে, যাতে শুধু মেধা নয়, দরিদ্র শিক্ষার্থীদেরও অগ্রাধিকার দেওয়া যায়।