ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি হামলায় ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছে প্রায় ১,১০০ শিশু। নিহতদের মধ্যে দুই শতাধিক নবজাতক। বুধবার (১ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।
গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় এ পর্যন্ত ১,০৯১ শিশু নিহত হয়েছে। এছাড়া শীতের তীব্রতার কারণে গাজায় অবরুদ্ধ অবস্থায় ছয় শিশুসহ সাতজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
ফিলিস্তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, ইসরায়েলি আগ্রাসনে প্রায় ১২ হাজার ৯৪৩ জন শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে এবং ২১ হাজার ৬৮১ জন আহত হয়েছে। এ সময় ৫৪২ শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে। নিহত শিক্ষক ও প্রশাসনিক কর্মীর সংখ্যা ৬৩০ এবং আহত হয়েছেন ৩ হাজার ৮৬৫ জন।
গাজায় চলমান হামলায় ৪২৫টি স্কুল, বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষা সংশ্লিষ্ট ভবন ধ্বংস হয়েছে। পশ্চিম তীরে ১০৯টি স্কুল ও সাতটি বিশ্ববিদ্যালয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
হামাসের ৭ অক্টোবরের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজায় বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। এ পর্যন্ত ৪৫ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। ধ্বংসস্তূপে এখনও ১০ হাজারের বেশি মানুষ নিখোঁজ।
ইসরায়েলের বর্বরতায় ২০ লাখেরও বেশি মানুষ তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। জাতিসংঘের যুদ্ধবিরতির আহ্বান উপেক্ষা করে ইসরায়েলি হামলা অব্যাহত রয়েছে।
গাজায় মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের দায়ে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে।
বিশ্বজুড়ে মানবিক সহায়তার আহ্বান এবং যুদ্ধবিরতির দাবি ক্রমশ জোরালো হচ্ছে। তবে ইসরায়েলের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে তার হামলা অব্যাহত থাকায় পরিস্থিতি দিন দিন আরও ভয়াবহ হয়ে উঠছে।