“নারী নিরাপত্তার কথা বললেই কেউ হাসে, কেউ বলে—এ তো চিরকালীন বাস্তবতা!” কিন্তু বাস্তবতা কি এমনই থাকার কথা ছিল?
গত পাঁচ বছরে বাংলাদেশে ১২ হাজারের বেশি নারী ও শিশু সহিংসতার শিকার হয়েছে। ধর্ষণের শিকার হয়েছে ৬ হাজারেরও বেশি, যাদের মধ্যে অর্ধেকের বেশি অপ্রাপ্তবয়স্ক! এসব পরিসংখ্যান নয়, এগুলো কষ্টের গাণিতিক প্রকাশ। প্রতিটি সংখ্যা একেকটি স্বপ্নের মৃত্যু, একেকটি পরিবারের চিরতরে বদলে যাওয়া গল্প।
কেউ আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে, কেউ মুখ বুজে সহ্য করেছে, আর অপরাধীরা? তারা কি শাস্তি পেয়েছে? বেশিরভাগই না। কারণ সমাজ এখনো নারীকে বিচার নয়, সমঝোতার পথেই ঠেলে দেয়। ধর্ম, সংস্কার, সামাজিক চাপ—সব মিলে নারীর স্বাধীনতাকে শিকল পরিয়ে রেখেছে।
কিন্তু আর কতদিন? আর কত প্রাণ ঝরলে আমরা জাগব?
নারীর প্রতি সহিংসতা কোনো নারীর একার লড়াই নয়, এটি আমাদের সবার লড়াই। বিচারহীনতার সংস্কৃতি না বদলালে আমাদের মা, বোন, মেয়ে কেউই নিরাপদ নয়। নারী দিবসের প্রতিশ্রুতি কেবল ফেসবুক পোস্টে সীমাবদ্ধ থাকলে চলবে না, চাই ন্যায়বিচার, চাই নিরাপদ ভবিষ্যৎ। এবার সত্যিই কিছু বদলানোর সময় এসেছে!