বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসির (ICC) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (CEO) জিওফ অ্যালারডাইস আকস্মিকভাবে পদত্যাগ করেছেন। দীর্ঘ ১৩ বছর আইসিসির সঙ্গে যুক্ত থাকার পর এ সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি। ২০১২ সালে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার (CA) অপারেশনস ম্যানেজারের দায়িত্ব ছেড়ে আইসিসিতে মহাব্যবস্থাপক হিসেবে যোগ দেন অ্যালারডাইস। এরপর ২০২১ সালে তিনি প্রধান নির্বাহী হিসেবে নিয়োগ পান। পদত্যাগের বিষয়ে তিনি বলেছেন, এটি নতুন চ্যালেঞ্জ নেওয়ার উপযুক্ত সময় এবং আইসিসিতে তার দীর্ঘদিনের কাজের অভিজ্ঞতা ও অর্জন নিয়ে তিনি গর্বিত। তবে, ক্রিকেটবিশ্বে আলোচনা চলছে—এটি কি কেবল ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত, নাকি আইসিসির অভ্যন্তরীণ সংকটের ফল?
বিশ্ব ক্রিকেটের সাম্প্রতিক ঘটনাগুলোর দিকে নজর দিলে অ্যালারডাইসের পদত্যাগের নেপথ্যে চাপের কারণ খোঁজা কঠিন নয়। ২০২৫ আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সূচি ও ভেন্যু চূড়ান্ত করতে বিলম্ব, ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আয়োজনে বিশৃঙ্খলা এবং ভারতীয় দলের পাকিস্তান সফর নিয়ে অনিশ্চয়তা এসবের মধ্যে অন্যতম। বিশেষ করে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির মূল সম্প্রচারকারী প্রতিষ্ঠান স্টার স্পোর্টস নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সূচি প্রকাশ না করায় অসন্তোষ প্রকাশ করে এবং আইসিসিকে চিঠি পাঠিয়েছিল। এছাড়া, যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে অনুষ্ঠিত ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রয়োজনের তুলনায় বেশি অর্থ ব্যয় হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। গত বছর আইসিসির বিপণন ও যোগাযোগ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক ক্লেয়ার ফারলং এবং টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজক কমিটির প্রধান ক্রিস টেটলি পদত্যাগ করেন, যা আইসিসির অভ্যন্তরীণ ব্যবস্থাপনায় অস্থিরতার ইঙ্গিত দেয়। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হলেন জিওফ অ্যালারডাইস।
তার বিদায়ের পরপরই ক্রিকেট মহলে প্রশ্ন উঠছে, আইসিসির পরবর্তী প্রধান নির্বাহী কে হবেন এবং তার নেতৃত্বে সংস্থাটি কীভাবে সামনের চ্যালেঞ্জগুলো সামলাবে?